হয়তো কোন একদিন

হয়তো কোন একদিন
সব দুরুত্ব ঘুচিয়ে দিয়ে
আমরা এক হয়ে যাই।

মেঘ ভোরের আলোকে
মিলে মিশে অনায়াসে
নতুন রূপে দেখতে পাই।।

সকল বাধা পেরিয়ে
দুকুল ভেংগে
হাজার মাইল বুকে নিয়ে
সাগরে
নদীকে হারাই।।

গুলশান। নভেম্বর ২৯, রাত সাড়ে দশটা।

তোমার কথা শুনবো বলে

তোমার কথা শুনবো বলে
অামি এখন অার কথা বলিনা
তুমি কখন বলবে
অামি অপেক্ষায় অাছি।

কতকাল হলো
অামি কথা বলিনা
তোমার অাশায় বসে অাছি
তোমার কথা অামি ছাড়া
অার বুঝবে কে।

অামিতো জানি
তুমি কেমন করে কথা বলো
চোখে চোখে ঠোঁটে ঠোঁটে
অামি অবাক হয়ে শুনি
অার তোমাকে দেখি।
এখন অামার কোন ভাষা নাই
তুমিই অামার ভাষা।

গুলশান। ডিসেম্বর ৮, সকাল বেলা

আমিতো আছি

অামিতো তোমারি অাছি
থাকবো তোমারি
চিরকাল যেখানেই থাকো
কাছে বা দুরে।

বিন্দু সাগরে মিশে গেলে
সেও সাগর হয়ে যায়
অাকাশ অার বাতাসের
কোলাকুলি
চলে অন্তপুরে।।

অামি অার তুমি
কে কার
কে করিবে বিচার
কে দেখিছে
অালাদা দুজন
কোথায় ঘুরে।।

প্রেসক্লাবে। দুপুরে।

আমার সব শব্দ

অামার সব শব্দ ফুরিয়ে গেছে
নাই কোন ভাষা অার
একদিন সবই ফুরিয়ে যাবে
থাকবেনা কিছুই বলার।

সাগরের অাকুল ভাষা
প্রকৃতির মৌনতা
হিমালয়ের কান্না
জয় হবে নীরবতার।।

অাকাশ বাতাস
সবই থেমে যাবে
ফিরে যাবে অাপন ঠিকাবায়
সকল কথা ফুরিয়ে যাবে
সৃষ্টি সবার।।

গুলশান। ডিসেম্বর ৯, সকাল সাড়ে সাতটা।

তোমার কথা ভেবে ভেবে

তোমার কথা ভেবে ভেবে
অামার রাত কাটে
অার দিন কাটে
একাকী একার সনে।

চাঁদের ও রাত কাটে
জোছনার কথা ভেবে
জোনাকি চাঁদকে ভাবে
কুয়াশার মনে।।

তুমি নেই বলে
অামিও নেই
কবিতারা পড়ে থাকে
নীরবে নিরজনে।।

গুলশান

নদী কেমন করে

December 2 at 7:41 AM ·

নদী কেমন করে
প্রেমের কথা বলে
তুমি শুনতে কি পাও।

কেমন করে প্রকৃতি
কথা বলে
ঝিরি ঝিরি বাতাসে
কান পেতে শুনে যাও।।

সুর কেমন করে
ভেসে আসে
অচেনা সুদুর থেকে
হৃদয়ে বুঝে নাও।।

গুলশান। ডিসেম্বর ২, সকাল বেলা।

চোখ মেলো

চোখ মেলো অন্তর সাথী
প্রাণবন্ধু অামার
ঘোমটা তোল দেখি তোমায়
রূপের অাধার।

ভোরের কিরণ দিচ্ছে উঁকি
মুচকি হেসে
ডাকছে তোমায়
মেলো চোখ এবার।।

হাসলে তুমি হাসবে জগত
রূপালী হাসি বিলিয়ে দাও
হোকনা জগত সবার।

গুলশান। ডিসেম্বর ৫, সকাল বেলা

আমার কাছে

আমার কাছে তোমাকে
দেবার মতো
আর কি আছে
এ মনটা ছাড়া।

তোমাদের এই সমাজটাতে
মনের আর কি দাম আছে

এখানে মন পাওয়া
যায় ভাড়া।।

আমার আছে শুধু একটা
বিত্তহীন মন
যদি নিতে চাও নিতে পারো
নেই কোন তাড়া।।

গুলশান। ডিসেম্বর ৫ । রাত সড়ে নটা।

পর্দা তোল

পর্দা তোল প্রিয়তম অামার
পর্দা তোল
অার কতকাল রাখবে তুমি
এই অাড়াল।

দিনের অালো কেমন করে
লুকিয়ে থাকে
মেঘের অাড়াল।।

মেঘ অার কুয়াশা কি
কখন পারে তুলতে দেয়াল।।

তোল পর্দা বন্ধু অামার
অামিতো অাছি
তোমার এপার।।

গুলশান। ডিসেম্বর ৫, সকাল বেলা।

তুমিতো আমাতেই আছো

তুমিতো আমাতেই আছো
তবুও এতো ভাবি কেন
কেন তোমায় খুঁজি আমিতেই
আমারো বাইরে।

জোছনাকে আমার
কেন ভাল লাগে এতো
চাঁদ কেন নাচে
সাগরের জলে
কেন ভাবি এতোরে।।

ভাবনারা কোথায়
কোন অজানায় লুকিয়ে
খেলিছে অবিরত
কারো জানা নাইরে।।

গুলশান। ডিসেম্বর ৪, সকাল বেলা।

নদীতে চাঁদের বিম্ব

নদীতে চাঁদের বিম্ব নাচে
তালে তালে
আর ওই চাঁদ থাকে
আকাশের পালে।

চাঁদের কপালে টিপ
জোনাকি জ্বলে
মেঘেরাও যাচ্ছে ভেসে
আকাশের তলে।।

আমিও বন্ধুর ছায়া
জগতের মায়া
মিশে থাকি তোমার
আনন্দ জলে।।

গুলশান। ডিসেম্বর ৬, সকাল বেলা।